About Me
বাংলা আর্টিক্যালস! পড়ুন, বুঝুন, জানুন ও লিখুন:
About Me
লেখক পরিচিতি
মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, জন্ম মাদারীপুরের টেকেরহাটে। তিনি তার বাবা-মায়ের সব ছোট সন্তান। তার পিতা ডা. মো. নুরুদ্দীন খান ও মাতা মিসেস ঝর্না বেগম। শিশুকাল কেটেছে বাবার কর্মস্থলে। বাবার চিকিৎসা পেশা ও ঔষধ ব্যবসায়ের সূত্র ধরেই তাদের টেকেরহাটে থাকা। পরবর্তীতে শৈশব ও কৈশরের বেশ কয়েক বছর কেটেছে পৈত্রিক বসতভিটা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুড়া-ঘোনাপাড়া গ্রামে। তার দাদা লাল খান ছিলেন ওই এলাকায় স্বনামে খ্যাত একজন ধনাঢ্য দানশীল ও ধার্মিক ব্যক্তিত্ব। গ্রামের পরিবেশে এক যুগেরও কম সময়ে থাকা হয়েছে তার। টেকেরহাটে তার স্কুল জীবনের শুরু হলেও তিনি গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তারপর গ্রামের হাইস্কুলে ভর্তি হলেও পরবর্তীতে তার পরিবার গোপালগঞ্জ শহরে এসে পাড়ি জমান।গোপালগঞ্জ এসে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। তারপর থেকে গোপালগঞ্জেই স্থয়ীভাবে বসবাস।
শহরের স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে মাধ্যমিক ও সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ছোট বেলা থেকেই তিনি খুব অধ্যবসায়ী ছিলেন। প্রাথমিক থেকে প্রতি শ্রেণিতে টপ লেভেলের ছাত্র হিসাবে কৃতিত্বের আসন ধরে রেখেছিলেন। এক্ষেত্রে তার মা-বাবা ও বড় ভাই ওয়াসীউদ্দিন খান সহ সকল বড় ভাই-বোনের ভূমিকা অগ্রগন্য। উচ্চ মাধ্যমিক শেষে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে গণিত বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। এক বছর গণিত বিভাগে পড়ার পর রাজনীতি ও সমাজিক বিজ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহ জন্মায়। এর ফলে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০১৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে সর্বাধিক নম্বর পেয়ে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৭ সালে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
স্নাতক শেষ করার পর পরই তিনি গোপালগঞ্জ শহরের একটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার সাথে জড়িয়ে যান। প্রায় ছয় বছর প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকতা মিলিয়ে প্রায় সতের বছর তিনি পাঠদানে নিয়োজিত। পাঠদানে তার মেধা ও মননের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে তিনি ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি এ যাবত অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে সর্বোচ্চ ভালো ফলাফল করাতে ভূমিকা রেখেছেন। অর্থাৎ পাঠ গ্রহণ ও পাঠদান আর জ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়েই তার সময় কেটেছে।
লেখালেখির বিভিন্ন শাখায় তার হাত রয়েছে। তিনি ২০১১ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করেন। প্রথমে কয়েকটি কবিতা লেখার মাধ্যমে তার এ জগতে পদার্পণ ঘটে। এখন একের পর এক সাড়া জাগানো জীবন ঘনিষ্ঠ প্রবন্ধ সৃষ্টিই তার নেশায় পরিণত হয়েছে। জীবন বাস্তবতা, আপন সম্পর্ক রক্ষা, অশ্লীলতা ও অবৈধ যৌনাচার থেকে মুক্তি, ধর্ম ও মূল্যবোধ, মানব প্রেমের সত্য-সুন্দর রূপ- এই পাঁচটি বিষয় তার লেখনির মূল উপজীব্য। তার রচিত কাব্য ও প্রবন্ধের সংখ্যা প্রায় সহস্রাধিক। প্রচার বিমুখ এই লেখক তার লেখনির মাধ্যমে প্রথমত নিজের মনোরঞ্জন খুঁজে সুখ পান। সুস্থ জীবন-জীবিকার এক ধারা প্রতিষ্ঠার জন্যে তার লেখনিতে বিভিন্ন অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক বক্তব্য উঠে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুব শ্রেণির পাঠকদের কাছে তার লেখনি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে থাকে। তার লেখা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, তার ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তার প্রকাশিতব্য বইয়ের সংখ্যা প্রায় দশের অধিক। তিনি বাংলা আর্টিক্যালস ডটকম নামের তার নিজস্ব একটি ওয়েব পোর্টালে নিয়মিত লেখালেখি করেন ও এডিটর হিসেবে কাজ করছেন।
তার লিখিত বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে সমালোচিত বইটি হল 'ব্যক্তিক যৌননীতি'। এ বইটি কারো কারো চোখে অশ্লীলতায় ভরপুর, কারো চোখে যেন উত্তেজনায় ভরপুর, কিন্তু বাস্তবতার চোখে চরম সত্য একটি বই। এখানে তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতা, ইসলামিক শরিয়া এবং মেডিকেল সাইন্স এর আলোকে বিবাহ বহির্ভূত, ইসলাম বিরোধী ও নোংরা যাবতীয় অবৈধ যৌনকর্মকে কিভাবে বৈধতা দেওয়া যায় তার রূপরেখা বর্ণনা করেছেন। একই সাথে তিনি লিখেছেন 'ব্যক্তিক স্বাস্থ্যনীতি' নামে আরেকটি বই, যেখানে খুঁটিনাটি স্বাস্থ্য নির্দেশিকা ও টিপস রয়েছে যা কিনা বরাবরই আমরা সাধারণের ভাবনার বাইরে ছিল। আমাদের জীবনের প্রতিদিনকার অত্যাবশ্যকীয় কিছু খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন যার মাধ্যমে তিনি প্রচলিত অনেক ভুল সংশোধন করেছেন। দিয়েছেন প্রতিদিনকার জীবনের রুটিন যার মাধ্যমে একজন মানুষ চাইলে আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ দেহ-মনের অধিকারী হতে পারবেন।
তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখনী হলো 'আপন সম্পর্ক'। এই বইয়ে পিতা-মাতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক ও সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার দায়িত্ব নিয়ে এমন সব চঞ্চল্যময় ও কৌশলগত আলোচনা রয়েছে যা পাঠকদের এই আপন সম্পর্ক মধুর ও দায়িত্বশীল করতে ভূমিকা রাখবে। আরো রয়েছে 'শাশুড়ি-পুত্রবধূর লড়াই' নামক আরেকটি বই যা কিনা আমাদের সমাজের চিরচেনা এক সম্পর্ককে যাবতীয় ভুল বোঝাবুঝির ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে বলে আশা করি। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন 'স্বামীর শৃংখলে স্ত্রী' যা এই পবিত্র সম্পর্কের মধ্যে যাবতীয় অশান্তির অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করবে ও একটি দায়িত্বশীল দাম্পত্য সম্পর্ক গঠনে ভূমিকা রাখবে। আরো রয়েছে ভাই-বোন বড় আপন, আত্মীয়তার সম্পর্ক, প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক, সম্পর্ক রক্ষার হাতিয়ারসমূহ, আপন সম্পর্কের মৃত্যু এই খন্ডগুলো। এই বইগুলো আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সম্পর্ক কি কারণে আমরা রক্ষা করতে পারছি না, কোথায় আমাদের ভুল সংশোধন জরুরি হয়ে পড়েছে, আর কোরআন হাদিস ও সাধারণ নীতি নৈতিকতা আমাদের কি শেখাচ্ছে। এ বইগুলো না পড়লে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে লেখক কিভাবে সাধারণ মধ্যবিত্ত সমাজ বাস্তবতার আলোকে আপন সম্পর্কগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। এর বাইরেও আরো প্রায় দশের অধিক ছোট বড় বই রচনা করেছেন যেখানে জীবন বাস্তবতার আলোকে মনদৈহিক, পারিবারিক, সামাজিক নানা সংস্কার মূলক দর্শন, ধর্মের সঠিক কথা ফুটে উঠেছে।
তিনি সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে শিখে, যোগ্যতার সাথে প্রশিক্ষণ শেষ করার জন্য তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি যুব শ্রেণীকে প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার তথা ফ্রিল্যান্সার তৈরিতেও ভূমিকা রাখছেন। তিনি নিজেও একজন ফ্রিল্যান্সার। তিনি যেসব বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেন- কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বিল্ড আপ, ডোমেইন ও হোস্টিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, মোবাইল ফোন মার্কেটিং, গুগলের সাথে ব্যবসা, ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, ব্লগ ও ওয়েব পোস্টের জন্য সৃজনশীল লেখা, আর্টিক্যাল ও টেক্সট কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-কমার্স ম্যানেজমেন্ট, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া মনিটাইজেশন, ফ্রিল্যান্সিং ও ইনকাম, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস প্রভৃতি। তিনি গ্রাহককে দেওয়া এসব ডিজিটাল মার্কেটিং সেবায় তার যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে প্রস্তুত। একই বিষয়ে তিনি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও পরিচালনা করেন।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ২৭০ বছরের পুরোনো একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। এটি পোশাক, পাদুকা এবং কর্মক্ষমতা সামগ্রীর জন্য বিশ্বের বৃহত্তম থ্রেড এবং কাঠামোগত উপাদান প্রস্তুতকারক। এর আগে একই কোম্পানিতে আলাদা একটি ডিপার্টমেন্টে তিনি ইন্টার্ন হিসাবে ছিলেন।
বর্তমানে তিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ-তে অধ্যায়নরত। একই সাথে মাদানী আলেম ও প্রফেসরদের কাছ থেকে কুরআন ও সহীহ হাদিসের দারস পেতে রাজশাহীর বিখ্যাত হাদিস ফাউন্ডেশন এর অধীনে ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক স্টাডিজে অধ্যায়ন করছেন। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের উচ্চতর গবেষণ ও প্রশিক্ষনের জন্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজিডি প্রোগ্রামে একাধিক বিষয়ের উপর পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) সম্পন্ন করার অভিপ্রায় গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তিনি উচ্চতর ট্রেনিং গ্রহণ করেছেন।
এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবন, লেখালেখি ও ফ্রিল্যান্সিং কাজের বহুমুখী ব্যস্ততার পরেও এখনো শিক্ষকতাকে তিনি ছাড়তে পারেননি। কেননা অনেকেই তাকে একজন আদর্শ ও মেধাবী শিক্ষক ভেবে কদর করে তাদের বাচ্চাদের পড়ানোর জোর দাবী করে থাকে। বাচ্চাদের কার্যকরী প্রাথমিক শিক্ষার উপরও তিনি বই লিখেছেন। ইনশাল্লাহ তার নিজের সন্তানকেও সে এই বইয়ের বাইরে হাতেখড়ি দিবেন না। কেনোনা বাজারে প্রচলিত শিশু শিক্ষার অধিকাংশ বই ঠিক রং ও চিনি দিয়ে তৈরী শিশু খাদ্যের মতোই শিশুর জন্য উপকারী নয়। শিশুদের জন্য তার লেখা বইটির নামকরণ করা হয়েছে 'সারাহ্ লিপি'। বাংলা, অংক, ইংরেজি, কোরআন-হাদিস শিক্ষা, বিশুদ্ধ আমল আকিদা, সাধারণ জ্ঞান শেখার মৌলিক বিষয়বস্তু সমূহকে একত্রিত করে লেখা 'সারাহ্ লিপি' বইটি অসাধারণ। এ বইটি শতভাগ বিশুদ্ধ বানান উচ্চারণ শব্দ ও তথ্য দিয়ে রচনা করা হয়েছে। সচেতন ও শিক্ষিত অভিভাবকেরা বইটি হাতে নিলেই বুঝতে পারবেন।
ধরা বাঁধা কঠোর নিয়মের মধ্যে তিনি কখনোই থাকতে চাননি। এজন্য যেখানে স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতা অবারিত নয় এমন কোন প্রতিষ্ঠানে কখনো চাকরি করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। কর্মজীবনে প্রবেশ করে অর্থ লাভের কঠোর সাধনার ঊর্ধ্বে তিনি বই পড়া, লেখালেখি করা, ধর্মচর্চা করাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। এজন্যই দেখা যায় উচ্চশিক্ষা জীবনের শুরুতে তিনি গণিত বিভাগে ভর্তি হয়েও এক বছর পর সেখান থেকে ইস্তেফা নেন ও নিজের পছন্দসই বিষয় বেছে নেন। তারপর চাকরিজীবনে প্রবেশের জন্য তিনি তেমন কোনো চেষ্টা করেননি। বিপরীতে সৃজনশীল লেখালেখির জগত তাকে বারবার টেনে রেখেছে। তবে কর্মক্ষেত্রের কথা বলতে গেলে, বরাবরই কর্পোরেট সেক্টর তার পছন্দের শীর্ষে ছিল। কেননা এখানে দুর্নীতি নয় বরং কাজকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর রয়েছে শৃঙ্খলা, কাজের উপযুক্ত পরিবেশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের অবারিত সুযোগ। মনোঃপুত না হলে যে কোন সময় বর্তমান কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করে নতুন কর্মক্ষেত্র বেছে নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা পুঁজি হিসাবে থাকে।
তিনি পবিত্র কোরআনের ক্বারী। পবিত্র কোরআন ও হাদীছ অধ্যায়ন করার মাধ্যমে তিনি ইসলামের জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টায় নিজেকে শামিল রাখতে পেরেছেন যার মাধ্যমে তিনি একজন সত্যিকার আহলূল হাদীছ হবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাপ দাদা ধর্মানুরাগী ছিলেন বিধায় তিনি ধার্মিক হননি বরং পড়াশোনা করে পূর্বসূরীদের ধর্ম সত্য বলে তার কাছে প্রমাণ হওয়ায়ই কেবল তিনি সত্যধর্মে স্থির থেকেছেন। তিনি কোন ধর্মীয় পন্ডিতের কথাকেই সত্য বলে অকপটে মেনে নেন না বরং নিজে স্টাডি করে যাচাই করে দেখেন তার সত্যাসত্যতা। ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে এসবই তার চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন।
তিনি ১৯৯১ সালের ১২ এপ্রিল, রমাজান মাসের শেষ শুক্রবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম রাখা হয় আল-আমিন। তিনি যেনো তার নামের অর্থ ‘বিশ্বাস’ শব্দটাকেই ধারণ করেন। আপনজন ও পরিচিতজনের কাছে একজন বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিত্ব হিসাবে তিনি প্রিয়। তার লেখনিতেও যেনো সেই বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে বার বার।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই, সুখ-শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা নিয়ে কিছু মানুষ তার জীবনের সাথে পবিত্র এক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। এক পর্যায়ে সেই সব লোকের বিশ্তাবাসঘাতকতার মূলে তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। এতে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিদ্ধস্ত হয়ে পড়েন। আর ঠিক তখনই আরো বেশি করে তিনি লেখালেখির জগতে ডুবে যান। একের পর পারিবারিক জীবন ঘনিষ্ট সাড়া জাগানো বই লিখতে শুরু করেন যা প্রকাশকদের নজর কারতে সক্ষম হয়। এসব বই তিনি পাঠকদের হাতে তুলে দিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ মানুষের দেওয়া আঘাতকেও তিনি সাহিত্য সৃষ্টির সুযোগ হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন।
তিনি ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রাবেয়া সুলতানা খান নামক একজন অতি সুন্দরী বিদুষী বালিকাকে তিনি বিয়ে করেন। যে কিনা তার জীবনের স্থিতিশীলতা ও লেখালেখির একজন অনুপ্রেরণাদানকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের কোল আলো করে এসেছে একজন কন্যা সন্তান। তার নাম রাখা হয়েছে সারাহ্ খান।